আসামিকে ফুল দিয়ে বরণ করলো পুলিশ!

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মা’দ’ক মা’ম’লায় ৬ মা’সের সাজাপ্রাপ্ত এক আ’সামি থা’নায় আ’ত্মসম’র্পণ করার পর তাকে হা’তক’ড়া না পরিয়ে ফুলেল শু’ভেচ্ছা জানিয়ে আদা’লতে পা’ঠিয়েছে পুলিশ। রোববার বিকেলে থা’নায় উপস্থিত হয়ে আ’ত্মসম’র্পণ করেন সাজাপ্রাপ্ত আ’সা’মি আব্দুর রাজ্জাক (৩৮)। রাজ্জাক ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের বনকালি এলাকার মৃ’ত আব্দুল জব্বারের ছেলে।

জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৪ সালের শেরপুরের ঝিনাইগাতী থা’নার একটি মা’দক মা’ম’লার আ’সা’মি ছিলেন। মা’ম’লার পর থেকেই পালিয়ে জীবনযাপন করছিলেন তিনি। মা’ম’লার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরে আদালত তাকে ৬ মাসের সাজা দেন এবং আব্দুর রাজ্জাক পলা’তক থা’কায় তার বিরু’দ্ধে আদালত গ্রে’ফতারি পরো’য়ানা জারি করেন।

কিছুদিন আগে ঝিনাইগাতী থা’নায় সেই গ্রে’ফতারি পরো’য়ানা পাঠানো হয়। এরপর থেকে তাকে গ্রে’ফতারে চেষ্টা চালা’চ্ছিল থা’নার পুলিশ। একই সঙ্গে পরিবারের মাধ্যমে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ওই আসা’মির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন ঝিনাইগাতী থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।

এক পর্যায়ে ওই আ’সা’মিকে বুঝিয়ে পালিয়ে না থেকে আত্ম’সমর্পণের পরামর্শ দেন এবং তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পরে দীর্ঘদিন পলা’তক থাকার পর রোববার বিকালে স্বেচ্ছায় থা’নায় এসে ধ’রা দেন রাজ্জাক। ওই সময় তাকে হা’তক’ড়ার বদলে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ওসি। পরে হা’তক’ড়া ছাড়াই বিকালে তাকে আ’দালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে জে’লহাজতে পাঠা’নোর নির্দেশ দেন।

আ’সামি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাম’লার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পা’লিয়ে জীবনযাপন করছিলাম। আমার অনুপস্থিতিতে আদা’লত আমাকে ৬ মাসের সা’জা দেয়। পরে ওসি সাহেবের পরামর্শে থা’নায় উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় ধরা দেই।এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থা’নার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গ্রে’ফতারি প’রোয়ানা পাওয়ার পর তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে পালিয়ে না থেকে আত্ম’সমর্পণের পরামর্শ দিলে থা’নায় এসে ধরা দেন তিনি।